দখলদার ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসনে পুরো গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তুপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে কঠোর অবরোধের মুখে গোটা উপত্যকায় খাদ্য, পানীয়সহ সব ধরনের সরবরাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় হাজার হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসক ও ত্রাণকর্মীরা।
বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় বর্তমানে প্রায় ৬০,০০০ শিশু ‘অপুষ্টির কারণে চরম স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকিতে রয়েছে’।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর জারি করা বাস্তুচ্যুতির নির্দেশনার কারণে ২১টি পুষ্টিকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে ইতোমধ্যেই অপুষ্টিতে ভোগা প্রায় ৩৫০ শিশুর চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।
এর আগে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস দাবি করে বলেছে, ইসরাইল গাজায় গণহত্যামূলক আগ্রাসন ও শিশুদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালাচ্ছে। এ জন্য ইসরাইলি নেতাদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
এদিকে গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর গাজার শুজাইয়া জেলায় ধারাবাহিক ইসরাইলি বিমান হামলায় ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, এ নিয়ে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ৫০,৮১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১,১৫,৬৮৮ জন আহত হয়েছে।
তবে ফিলিস্তিনের সরকারি মিডিয়া অফিস নিখোঁজ থাকা ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা আপডেট করে মোট প্রাণহানির সংখ্যা ৬২,৭০০ জনেরও বেশি বলে জানিয়েছে।
মিডিয়া অফিসের মতে, এখনো গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদেরকে মৃত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।