ভারতের কলকাতায় দুলাভাই এর কু-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ৩০ বছর বয়সী শ্যালিকাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুলাভাই। খবর এনডিটিভির।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতার ওই নারী তাঁর দুলাভাই এর প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এই প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে পারেননি দুলাভাই। প্রথমে তাকে গলা টিপে হত্যা করে, তারপর মাথা কেটে ফেলে, এবং দেহকে তিন টুকরো করে কেটে দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের একটি বহুতল ভবনের পিছনে একটি আবর্জনা গর্তে ফেলে দেয়।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় রিজেন্ট পার্ক এলাকায় একটি পলিথিন ব্যাগে লুকানো অবস্থায় কাটা মাথাটি পাওয়া যায়, স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানালে শনিবার একটি পুকুরের কাছ থেকে নারীর দেহের বাকি অংশ উদ্ধার করে পুলিশ
এ ঘটনায় ৩৫ বছর বয়সী নির্মাণ শ্রমিক আতিউর রহমান লস্কর অপরাধ স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, একই এলাকায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করা ওই নারীকে তিনি বারবার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর হত্যা করেছেন। দুই বছর ধরে স্বামী থেকে আলাদা থাকা ওই নারী প্রতিদিন লস্করের সাথে কাজে যাতায়াত করতেন।
কলকাতা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার বিদিশা কলিতা বলেন, দুলাভাইকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেছিলেন সেই নারী এবং তার ফোন নম্বরও ব্লক করেছিলেন তিনি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন লস্কর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, কাজ শেষ করার পর তিনি তাকে ভবনেটিতে যেতে বাধ্য করেন। সেখানে তিনি তাকে গলা টিপে হত্যা করেন, তার মাথা কেটে ফেলেন এবং তার দেহকে তিন টুকরো করে কেটে দেন, যা পরে তিনি বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন।
কাটা মাথাটি আবিষ্কৃত হওয়ার পর অবিলম্বে ঘটনাস্থলে স্নাইপার ডগ পাঠানো হয় এবং আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। কাটা মাথার প্রাথমিক পরীক্ষায় আঘাতের চিহ্ন ও রক্তের দাগ পাওয়া গেছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে মাথা খুঁজে পাওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ গ্রাহাম রোডের আবর্জনা গর্ত থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেছে, যেখানে প্রথমে কাটা মাথাটি পাওয়া গিয়েছিল।
সিসিটিভি ফুটেজ এবং সংগৃহীত প্রমাণের সূত্র ধরে পুলিশ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবারের বাসুলডাঙ্গা গ্রামে লস্করের গ্রামের বাড়িতে তার সন্ধান পায় এবং তাকে গ্রেপ্তার করে।