মানবাধিকার সুরক্ষিত রেখে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এ যাত্রায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এটাই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।
১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, জাতিসংঘ ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বরকে ‘মানবাধিকার দিবস’ ঘোষণা করে। সেই থেকে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর ‘মানবাধিকার দিবস‘ পালিত হয়ে আসছে। ২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য— ‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ, এখনই।’
সংস্কারের কোনো শেষ নেই, কিন্তু আসল কথা কেউ বলছে না : গয়েশ্বর ঢাকা থেকে আগরতলা পর্যন্ত লং মার্চ করবে বিএনপির ৩ সংগঠন
তিনি বলেন, এইপ্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও যেন ভবিষ্যতে আর কেউ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি ন্যায়নিষ্ঠ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
বিগত দিনে বাংলাদেশে দীর্ঘ একদলীয় শাসনের কালো অধ্যায় পার করেছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল এবং রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়িয়েছিলেন—রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ। তারা মিথ্যা মামলা, কারাবাস, শারীরিক নির্যাতন, গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, আজ আমরা এক নতুন যাত্রায় আছি—গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকারের সুরক্ষার যাত্রা।
জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার আলোকে আমাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রব্যবস্থা এমন হতে হবে, যেখানে মানুষের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং কেউ আর নিপীড়িত হবে না।