আর মাত্র কিছুক্ষণ পরই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় শুরু হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি। রোববার (১৯ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কার্যকর হবে যুদ্ধবিরতি। শুধু গাজাবাসীরা নয়, বিশ্বের বহু মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে এই মুহূর্তটির জন্য। সবারই আগ্রহ গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে।
গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরাইল। আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, প্রথমদিনে ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ৯৫ জন ফিলিস্তিনি; যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু তাদের বিনিময়ে হামাস তিনজন জীবিত নারী জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বন্দি বিনিময় শুরু হবে ইসরাইলের স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা পর।
সূত্রটি ওয়াইনেটকে আরও জানিয়েছে, হামাস সদস্যরা দূতদের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করবে। আর জিম্মিদের নাম এবং অবস্থান সম্পর্কে একমত হতে তাদের সময় লাগবে কেননা এখনও গাজার আকাশসীমায় ইসরাইলি বিমান ঘোরাফেরা করছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রেড ক্রসের মাধ্যমে বন্দিদের মুক্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরাইলি সেনারা গাজার জনবহুল কেন্দ্রগুলো থেকে সরে যাবে। প্রথম ছয় সপ্তাহের মধ্যে ইসরাইলি সেনাদের ইসরাইলের সীমান্ত বরাবর গাজার অভ্যন্তরে প্রায় এক কিলোমিটার (০.৬ মাইল) প্রশস্ত একটি বাফার জোনে ফিরে যেতে হবে।
গাজা থেকে আলজাজিরার (আরবি) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে দক্ষিণের শহর রাফাহ এর কেন্দ্র থেকে সামরিক যানবাহনসহ ইসরাইলি সেনারা ফিরে যাচ্ছে।
যুদ্ধবিরতি শুরু পর ইসরাইল গাজার ওপর থেকে অবরোধও শিথিল করবে এবং ত্রাণবাহী ৬০০ ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে। জাতিসংঘ এবং সাহায্য সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গাজার প্রবেশপথগুলোতে তাদের ত্রাণবাহী ট্রাক অপেক্ষা করছে। তারা খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং আশ্রয় সামগ্রী দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রক্কালেও গাজার খান ইউনিসের হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে এক পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা