বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেছেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নতিতে দুই দেশ কাজ করছে। উভয়ের সম্পর্ক পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে বিকশিত হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন ক্ষেত্রেও উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘রিসেন্ট ডাইনামিকস অব পাকিস্তান-বাংলাদেশ রিলেশনস’ শীর্ষক বিশেষ বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আমরা আশাবাদী। আমরা এ অঞ্চলের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য একযোগে কাজ করতে চাই। আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে পারস্পরিক স্বার্থে বর্তমান ও আগামীর পথে চলতে চাই।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উপর গুরুত্ব দিয়ে হাইকমিশনার মারুফ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আলোচনা করতে গেলে আমাদের বিগত ১৬ বছরের স্থবিরতা মাথায় রাখতে হবে। ১৯৭১ সালে যা ঘটেছে কূটনীতিক হিসেবে আমার প্রধান লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন। গত কয়েকমাসে এ সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা অনেকগুলো কাজ করেছি। পাকিস্তান যাওয়ার জন্য ভিসার জন্য হাইকমিশনে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এ লক্ষ্যে সার্কের পুনরুজ্জীবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সার্ক বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছে, এটি বাংলাদেশের আইডিয়া। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমার আলাপকালে এটিকে পুনরুজ্জীবিত করার কথা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে কক্সবাজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সার্কের মাধ্যমে পাকিস্তান হয়ে পুরো ইউরোপজুড়ে বাণিজ্য করার সুযোগ তৈরি হবে। যা নরওয়ে পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। ড. ইউনূসও এ বিষয়ে খুবই আগ্রহী। সার্কের এই ধারণা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতই একটা বিষয়। এই দেশগুলোর উন্নয়নে এই সংস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।

শিক্ষার্থীদের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম নিয়ে এ হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পাকিস্তান ৩০০ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ওপেন করেছে। এই ফুল ফান্ড স্কলারশিপগুলো পেতে শিক্ষার্থীরা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখতে পারেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিভাগটির অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন মজুমদার, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ভূঁইয়া মো. মনোয়ার কবির, সহযোগী অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন মিজি, আক্কাস আহমদ, এজিএম নিয়াজ উদ্দিন, মো. বখতেয়ার উদ্দিন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মো. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. এন. এম. সাজ্জাদুল হক প্রমুখ।