চুয়াডাঙ্গা: বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দর্শনা আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার অন্যতম আসামি সাবেক এমপি টগরের ভাই দামুড়হুদা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম ও যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান ছোট, মান্নান ও তোতা।
মামলার বাদী দর্শনার কেরু হাসপাতাল পাড়ার মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে শাহাবুদ্দীন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কেরুর কুলি লাইন এলাকায় মিজানুর রহমানের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এসময় বাদী শাহাবুদ্দীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। এছাড়া পিস্তল ঠেকিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে আসামিরা। ওই বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লুট করে নেওয়া হয় স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা। এক পর্যায়ে লোকজনের ডাক চিৎকারে তারা বীরদর্পে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বোমা বিস্ফোরণ করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বাদী আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হওয়ায় সে সময় থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ করেনি। এছাড়া দীর্ঘসময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকায় একাধিকবার মামলা দায়ের করতে গেলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মামলাটি আদালতে দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- কেরু হাসপাতাল পাড়ার হাফিজুল, কেরু টেডী কোয়ার্টারের কুটি বাবু, পরানপুর গ্রামের চান্দু, ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের সাইফুল ওরফে হুকুম আলী, কেরু টেডী কোয়ার্টারের ইসমাইল, ইদ্রিস আলী, আনন্দবাজারের দাউদ হোসেন, কেরু মিল পাড়ার সাহেব আলী, রঘুনাথপুর গ্রামের মুন, আনন্দবাজারের তপন, ছোটশলুয়া গ্রামের মামুন, আনোয়ারপুরের সুমন, কলেজপাড়ার পারভেজ, চরবলদিয়া গ্রামের সাইফুল মেম্বর, দক্ষিণ চাঁদপুরের সোহেল সরদার ও পুরাতন বাজারের আশরাফ আলম বাবু।