1. starbanglatv26@gmail.com : starbanglatv26@gmail.com starbanglatv26@gmail.com : starbanglatv26@gmail.com starbanglatv26@gmail.com
  2. info@www.starbanglatvchannel.com : স্টার বাংলা টিভি :
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন

নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে যা বললেন সামান্তা শারমিন

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

১০৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে সংগঠিত হলেও আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষের কোনো সংগঠিত রূপ ছিল না। রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনে তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নে একটা সংগঠিত প্ল্যাটফরম দরকার ছিল। সে জায়গা থেকেই জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হয়েছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়।’ একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোতে তরুণরা নেতৃত্বের দিক থেকে সুযোগ পায় না। অথচ বিভিন্ন আন্দোলন বা যে কোনো কর্মসূচিতে দলগুলো তরুণদের ব্যবহার করে। এ কারণে তাদের একটা রাজনৈতিক দল গঠন হোক, সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে এ ধরনের দাবি আছে। কিন্তু দল গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে কিংবা আদৌ দল গঠন করব কি না, সে বিষয়ে আমাদের নিজেদের মধ্যে চূড়ান্ত কোনো আলাপ হয়নি এখনো। আমরা এখনো সারা দেশের অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করা এবং আহত ও শহিদ পরিবারগুলোর দায়িত্ব নেওয়ার কাজটাই করছি।’

সংবিধান ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধানটা আসলে এমনভাবে শুরু হয়েছে যে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রোক্লামেশন যেভাবে কাটছাঁট করে নতুন করে কিছু মূলনীতি তৈরি করা হয়েছে, এগুলোকে আমরা মনে করছি বাইরে থেকে আসা চিন্তা, যেটা আসলে আমাদের দেশের জনতার মধ্যে থেকে উত্থাপিত কোনো বিষয় নয়। এই বাইরে থেকে আসা জিনিস আমাদের ওপরে একপ্রকার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ বছরের রেজিমে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা, সাংবিধানিক সংকট ইত্যাদি পরিভাষা দিয়ে আমাদের শোষণ করা হয়েছে। সংবিধান প্রণয়নে জনতার অংশগ্রহণ না থাকায় এটি জনবিরোধী সংবিধান হয়ে ওঠেছিল। এই গণবিরোধী সংবিধানকে ঝেড়ে ফেলে জনমুখী একটা সংবিধান করে তোলা এখন সময়ের দাবি। আমরা চাই সংবিধান নিয়ে সারা দেশে উঠান বৈঠক হোক, আলাপ-আলোচনা, আড্ডা হোক।’

সামান্তা বলেন, ‘গত ৫৩ বছর ধরে আমরা সাংবিধানিক সংকটের ঊর্ধ্বে উঠতে পারছি না। কারণ, আমরা দেখছি বিএনপিসহ অন্য সব অভ্যুত্থানকারী শক্তি বিশেষত রাজনৈতিক দলগুলো নানান মতে আছে। আমরা আহ্বান করেছি, এই ইস্যুতে ঐক্য খুব জরুরি।’

আপনারা লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিষয়ে সামান্তা আরও বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমাদের নেতৃত্বস্থানীয়। তারা আমাদের ন্যাশনাল ফিগার। তাদের নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাব। এটা লেজুড়বৃত্তি বলা যাবে না। আমরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।’

নাগরিক কমিটি সরকারের অংশ কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা সরকারের অনেক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছি। আমরা বিশ্বাস করি জবাবদিহিতার জায়গা না থাকলে আবারও ফ্যাসিস্ট কাঠামো গড়ে ওঠবে। এই মুহূর্তে সরকারের দুর্বলতা, মন্থরগতির যদি সমালোচনা না করি তাহলে আমাদের রাজনৈতিক দায়িত্বশীলতা থাকল না। আবার সরকার যদি উত্তর দিতে না পারে, তাহলে সরকারও জবাবদিহিতার অংশ হলো না।’

সামনের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নাগরিক কমিটি কী ভাবছে জানতে চাইলে সামান্তা বলেন, ‘বিগত নির্বাচনগুলোতে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। আমরা চাই বিগত ৩টা নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করা হোক। আমরা চাই সামনের নির্বাচন প্রশ্নহীন হোক, সবাই যেন তাতে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসতে চাইলে তাদের বিচারিক প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অবৈধ নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের অবস্থান পরিষ্কার ছাড়া পুনর্বাসন সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে ক্ষমা চাইতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© স্টার বাংলা টিভি
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট