ঠাকুরগাঁও শহরের তাতিপাড়া মহল্লার স্কুল শিক্ষিকা সান্ত্বনা রায় মিলি চক্রবর্তী হত্যা মামলা নতুন মোড় নিয়েছে। মামলার তিন বছর সাত মাস পর জানা গেল আত্মহত্যা নয় হত্যা করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে। এমনটি করেছে তার ছেলে ও স্বামী।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ হত্যা মামলার তদন্ত শেষে তার স্বামী, ছেলে, বিএনপিনেতাসহ মোট চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও সদরের জ্যৈষ্ঠ জুডিশিয়াল আমলি আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন।
চার্জশিটভূক্ত আসামিরা হলেন, মিলির স্বামী সমির কুমার রায়, ছেলে রাহুল রায়, সমিরের ভাইয়ের ছেলে স্বপন কুমার রায় ওরফে মানিক ও মিলির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানো জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সোহাগ।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, আমিনুলের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন মিলি। মোবাইলে বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমে তারা মিলিত হতেন। বিষয়টি মিলির ছেলে রাহুল রায় ও তার স্বামী জেনে যান। এর জেরে ২০২১ সালের ৮ জুলাই মিলির সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মিলিকে মারধর ও বুকে আঘাত করা হয়ে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ে তিনি।
এরপর রাত ৩টার দিকে মিলিকে ঘর থেকে বের করে বাহিরে নিয়ে যাওয়া হয়। পথে বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী জিজ্ঞাসা করলে স্বামী ও ছেলে জানায় অসুস্থ হওয়ায় মিলিকে তারা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর বাড়ির পাশের একটি গলিতে কেরসিন তেল ঢেলে দিয়ে মিলির শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এ আগুনে তার মৃত্যু হয় বলে ফরেনসিক রিপোর্টে জানা যায়।
সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি মূলত ঘটেছে পরকীয়ার সম্পর্কের জেরে।’