1. starbanglatv26@gmail.com : starbanglatv26@gmail.com starbanglatv26@gmail.com : starbanglatv26@gmail.com starbanglatv26@gmail.com
  2. info@www.starbanglatvchannel.com : স্টার বাংলা টিভি :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ন

মানি লন্ডারিংয়ের মামলা বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি-চেয়ারম্যানসহ আট জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ আটজনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডের পাশাপাশি মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১২৪ কোটি ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৯৫ টাকার দ্বিগুণ অর্থাৎ ২৪৮ কোটি ৮৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৯০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।

 

দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন—সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজ আহম্মেদ উদ্দিন শাফি, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন এবং যমুনা ব্যাংক লি. এর সাবেক ডিএমডি মোজাম্মেল হোসেন।

আগামী ৬০ দিনের মধ্যে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ব্যর্থতায় তাদের আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এছাড়া দণ্ডিতদের নামে সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত।

এদিকে এ মামলায় আসামি যমুনা ব্যাংক লি. এর সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মু. মোর্শেদুর রহমান এবং এসএম জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।

 

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান এসব তথ্য জানান।

 

মামলার সূত্রে জানা যায়, খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট আসামিরা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সম্পৃক্ত ধারার অপরাধে ফান্ডেড ও নন ফান্ডেড খাতে মোট ১৩২ কোটি ৭৭ লাখ ১৭ হাজার  টাকা অপরাধলব্ধ আয় অর্জন করেন। খাজা সোলায়মান আনোয়ার চৌধুরীসহ সংগীয় আসামিরা ফান্ডেড ও ননফান্ডেড খাতে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয়ের মধ্যে ১৩২টি এলসি’র বিপরীতে অপ্রত্যাবাসিত মোট ১২৯ দশমিক ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার সমমূল্যে ১০ হাজার ৫৩৯ দশমিক ৮৫ লাখ, যাতে দেশের স্বার্থ রয়েছে তা দেশে প্রত্যাবাসন না করে রপ্তানির আবরণে পাচার করেন।

 

এ ঘটনায় দুদকের উপসহকারী পরিচালক আল-আমিন মতিঝিল থানায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১৭ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই বছরের ৩০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© স্টার বাংলা টিভি
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট