সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ এবং তার প্রয়াত বাবা সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল–আসাদ মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। তবে আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ার দুটি ঘাঁটির ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বগদানোভ সিরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছেন, সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলো নিয়ে আরও আলোচনা করবে রাশিয়া ও সিরিয়া।

তাস সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে জানানো হয়, বগদানোভ বলেছেন, এই বিষয়ে অতিরিক্ত আলোচনা প্রয়োজন।

তিনি আরও জানান, রাশিয়া ও সিরিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আরও গভীর করার জন্য আলোচনা চলবে এবং সামরিক উপস্থিতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বগদানোভ রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দামেস্ক সফরে গিয়েছেন, যা মস্কোর মিত্র প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর প্রথম উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সংলাপ।

সিরিয়া সরকারের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ সংকটের মধ্যে রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলো সিরিয়ায় তার ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার করতে। সিরিয়ায় রাশিয়ার উপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সুবিধা। তবে মিত্র আসাদের সরকারের পতনের পর প্রতিযােগিতায় পিছিয়ে পড়েছে মস্কো।

এদিকে, সিরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে এই আলোচনা শুধুমাত্র সামরিক সহযোগিতা নিয়ে নয়, বরং অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও পুনর্নির্মাণে সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। সিরিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হিসেবে পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা চাচ্ছে, এবং রাশিয়া এর একটি বড় অংশীদার হতে পারে।

২০১৫ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ চলা অবস্থায় পশ্চিমা বিশ্ব আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান জানিয়েছিল। তখন সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ করার মধ্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আসাদ সরকারের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।