গাজীপুরের শ্রীপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। সংশ্লিষ্টদের দাবি, টাকার প্রলোভনে ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে যায় যুবক। পরে ধর্ষণ করে তা নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করে বন্ধুদের কাছে পাঠায় অভিযুক্ত।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দরগারচালা গ্রামের শালবনের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পেশায় দিনমজুর যুবক মো. আরমান মিয়া (২৭) ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের বাসিন্দা। কয়েক বছর ধরে ঘটনাস্থলের পাশে মাঝেরটেক এলাকায় বন বিভাগের জমিতে ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন তিনি।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, দুপুর থেকেই তার মেয়েকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তারা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় বনের ভেতর চিৎকারে শব্দ শুনে সেদিকে এগিয়ে যান স্থানীয়রা। বনের ভেতরের নির্জন স্থানে হাতেনাতে ওই শিশু ও আরমানকে আটক করা হয়। তখন শিশুটি জানায়, তাকে ধর্ষণ করে সে দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেছে আরমান। পরে আরমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তিনি কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ ধারণ করে তার তিন বন্ধুর মোবাইলে পাঠিয়েছেন। এরপর তাকে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। পরে খবর দেওয়া হলে তাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামীম আখতার বলেন, আরমানকে পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরমান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। তারে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।