সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করছে জমি জালিয়াত চক্রের মূল হোতা আবু ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যাক্তি।
উক্ত বিষয়ে সাভার থেকে প্রকাশিত দৈনিক ফুলকি পত্রিকার একটি খবর প্রকাশিত হয়।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানাযার বিগত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ইসমাইল হোসেন খানের নামে ভূমি নাম জারী হয়। পরবর্তীতে গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে খলিলুর রহমান ও ইসহাক খানের নামে ভূমি খারিজ হয়। উক্ত বিষয়ে একটা রহস্যের জট পাওয়া যায়। ধল্লা ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের মৃত এবারত হোসেন খানের ছেলে ইসমাইল হোসেন খান ওই নায়েবের বিরুদ্ধে সহকারী কমিশনার( ভূমি) বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ইসমাইল হোসেন খানের দুই ভাই খলিলুর রহমান ও ইসহাক খানের নামে কোনো স্বত্ব না থাকলেও ভূমিটি তাহাদের নামে নামজারী জমাভাগ করায়। পরবর্তীতে মিস কেইসে ভূমি অফিস থেকে ওই নামজারী বাতিল করে মূল জোতে ফেরতের আদেশ দেয়। পরে ইসমাইল নিজ নামে নামজারী করে হাল সনের খাজনা পরিশোধ করেন। এরপরেও ধল্লা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আবু তাহের বাতিল হওয়া নামজারিতে দুই হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে খলিল ও ইসহাক খানের নামে খাজনার রশিদ কেটে দেন বলে একটা অভিযোগ করেন ইসমাইল হোসেন।
এ বিষয়ে ভূমি কর্মকর্তা আবু তাহের এই প্রতিবেদককে বলেন আমার অফিসে দুইটা আইডি আছে।আমি যে আইডিতে কাজ করি সেই আইডি থেকে খলিলুর রহমান ও ইসহাক খানের কোন কাগজ যায়নি। তবে কি ভাবে ওই কাগজ গেল আমি বোধগম্য নই।
সরেজমিনে গিয়ে একাধিক সুত্রে জানাযায় আবু তাহের একজন ভালো মনের মানুষ। কোন প্রকার দূর্নীতিকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। এলাকার কিছু ভূমিদস্যু তাদের সার্থ হাছিল করার জন্য একজন সৎ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করছে। যেটা সঠিক ভাবে তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে বলে অভিমত দিয়েছন সচতন মহল।
ভুমিদস্যুরা তাদের সার্থ হাসিল করার জন্য বা জলিয়াত করে জমি কেনা বেচার জন্য ভুমি কর্মকর্তা কে ম্যানেজ করার পায়তার করে আসছিলো বিভিন্ন অজুহাতে। কোন ভাবেই দালাল চক্র ম্যানেজ করতে না পেরে কৌশল অবলম্বন করে তাকে ফাসিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন একটি মহল। উক্ত বিষয়ে তিন সদস্য বিসিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা ভূমি কর্মকর্তা।
এ বিষয় অভিযুক্ত ভূমি কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন আমি কোন প্রকার দূর্নীতি বা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নই আমার বিরুদ্ধে বা আমার সৎ জীবন জাপানকে কলুষিত করার জন্য একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করছে। উক্ত বিষয় অভিযোগকারি ইসমাইল হোসেন খানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি। তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন তদন্তে যেটা বের হয়েছে সেটা আমরা সহকারী কমিশনার ভূমি ছারের কছে জমা দিয়েছি। সচেতন মহল বলেন দুর্নীতি যেন না হয় এবং একজন নির্দোশ ব্যাক্তি যাতে হেনেস্তা না হয় সে বিসয়ে নজর দেওয়া জরুরী