দুবাই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সন্দেহভাজন ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ বিভাগ এবং বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনের সমন্বিত অভিযানে রমজানের প্রথম ১০ দিনে বিভিন্ন জাতীয়তার ৩৩ জন ভিক্ষুককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে গালফ নিউজ।
এই পদক্ষেপটি দুবাই পুলিশের ‘সচেতন সমাজ, ভিক্ষুকমুক্ত সমাজ’ স্লোগানে পরিচালিত ‘ভিক্ষাবিরোধী অভিযান’-এর অংশ। অভিযানে দুবাই পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ আবাসন ও বিদেশি বিষয়ক অধিদপ্তর, সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ (আরটিএ), দুবাই পৌরসভা, ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স ও চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিজ ডিপার্টমেন্ট এবং আল আমিন সার্ভিসসহ একাধিক সংস্থা সহযোগিতা করছে।
ভিক্ষাবিরোধী কঠোর ব্যবস্থা
দুবাই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সন্দেহভাজন ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ বিভাগের উপ-পরিচালক কর্নেল আহমেদ আল ওদাইদি বলেন, ‘এই অভিযান ভিক্ষুকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হয়েছে, যা কঠোর পদক্ষেপের ফল। রমজানের প্রথম ১০ দিনেই ৩৩ জন ভিক্ষুক গ্রেফতার হয়েছে।’
তিনি বলেন, কিছু ভিক্ষুক মানুষের সহানুভূতিকে কাজে লাগানোর জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে। বিশেষ করে, শিশু, রোগী এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ব্যবহার করে জনগণের দয়া অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ‘অনেক নারীকে শিশুদের সঙ্গে নিয়ে ভিক্ষা করার ঘটনাও ধরা পড়েছে,’ তিনি যোগ করেন।
পরিকল্পিত প্রতারণা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
অভিযানের লক্ষ্য শুধু প্রচলিত ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করাই নয়, বরং অনলাইন ভিক্ষা এবং বিদেশে মসজিদ নির্মাণ বা মানবিক সহায়তার নামে প্রতারণামূলক অনুদান সংগ্রহকেও প্রতিহত করা।
আল ওদাইদি জনগণকে ভিক্ষুকদের প্রলোভনে পা না দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার আহ্বান জানান। ভিক্ষুকদের সম্পর্কে তথ্য দিতে দুবাই পুলিশের কন্টাক্ট সেন্টার ৯০১, ‘পুলিশ আই’ স্মার্ট অ্যাপ এবং ‘ই-ক্রাইম’ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার অনুরোধ জানান।