গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ, যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ‘সম্মানজনক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। হামাস এই চুক্তি কার্যকর করতে ইসলামিক জিহাদের সমর্থন প্রয়োজন ছিল, যাতে প্রক্রিয়াটি বিঘ্নিত না হয়।
ইসলামিক জিহাদ এক বিবৃতিতে বলেছে, আজ আমাদের জনগণ এবং তাদের প্রতিরোধ একটি সম্মানজনক চুক্তি চাপিয়ে দিয়েছে যাতে আগ্রাসন বন্ধ হয়।
ইরান-সমর্থিত এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জানিয়েছে, ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে চুক্তির শর্তের মধ্যে গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং ‘সম্মানজনক’ বন্দি বিনিময় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা হামাসের সঙ্গে যৌথভাবে ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের ইসরাইলে আক্রমণের সময় বন্দিদের আটক করে এবং তারপর থেকে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
এখন গাজায় চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন এই যুদ্ধবিরতির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব এবং গাজা ও ইসরাইলের মধ্যে ভবিষ্যতের সম্পর্কের ওপর নজর রাখছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এই চুক্তি উভয় পক্ষের মধ্যে স্থায়ী সমঝোতার দিকে নিয়ে যেতে পারে, যদিও উত্তেজনা এখনও পুরোপুরি কমেনি।
এই চুক্তির সফল বাস্তবায়ন হলে এটি গাজা অঞ্চলে একটি শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে পারে, যা দীর্ঘদিন ধরে সংঘাতে বিধ্বস্ত। তবে, পরিস্থিতির উন্নতি হবে কিনা তা সময়ই বলবে।