২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের আইটি খাত ৩৪৮ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করে তাদের সর্বোচ্চ মাসিক রপ্তানির রেকর্ড গড়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ এবং আগের মাসের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি।
এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির মধ্যেও, ধীরগতির ইন্টারনেট এবং ভিপিএন ব্যবহারের ওপর সরকারের কড়াকড়ি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গত বছর থেকে, ফেডারেল সরকার একটি জাতীয় ফায়ারওয়াল চালু করছে, যার উদ্দেশ্য ক্ষতিকর কন্টেন্ট ব্লক করা এবং সাইবার হামলা প্রতিরোধ করা।
বিশেষ করে, অনিবন্ধিত ভিপিএন-এর ওপর সরকারের দমন-পীড়ন ব্যবসা এবং ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ভিপিএন নিবন্ধনের একটি ডেডলাইন নির্ধারণ করা হলেও তা পরে বাতিল করা হয় এবং নতুন কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও একটি নতুন ক্যাটাগরি চালু করেছে, যা আইটি কোম্পানিগুলোকে তাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশে ইকুইটি বিনিয়োগ করার অনুমতি দেয়। এতে করে খাতটির মধ্যে আস্থা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে দীর্ঘমেয়াদে ইন্টারনেটের ধীর গতি এবং জাতীয় ফায়ারওয়ালের কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগ আছে। পাকিস্তান বিজনেস কাউন্সিল (পিবিসি) সম্প্রতি সতর্ক করেছে যে, ধীর ইন্টারনেট গতি এবং ফায়ারওয়ালের কারণে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নিতে পারে, যার কিছু ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান সফটওয়্যার হাউস অ্যাসোসিয়েশন (পাশা) জানিয়েছে, এই সমস্যার কারণে আইটি খাতের পরিচালন ব্যয় বছরে ১৫০ মিলিয়ন ডলার বাড়তে পারে। তবুও বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, আইটি সেক্টরের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে এবং ২০২৫ অর্থবছরে রপ্তানিতে ১০-১৫ শতাংশ বৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন। এই প্রবৃদ্ধি ৩.৫ থেকে ৩.৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্য পূরণ করতে পারে।
সরকারের ‘উড়ান পাকিস্তান’ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ২০২৯ অর্থবছরের মধ্যে আইটি রপ্তানি ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্য পূরণে বছরে ২৮ শতাংশ যৌগিক বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হার (সিএজিআর) প্রয়োজন পড়বে।