ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা আবার সক্রিয় হচ্ছে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, শাপলা-শাহবাগ ফেরত আনার চেষ্টা হচ্ছে।
মাহফুজ আলম লিখেছেন, ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা আবার সক্রিয় হচ্ছে। পুরোনো ভাবাদর্শিক বন্দোবস্ত সক্রিয় হয়ে গেছে। সরকারের দায় দিন, অসুবিধা নেই। আমরা চেষ্টা করছি। কেন পারিনি বা আপনাদের প্রত্যাশা মতো পারছি না, সেসব ব্যাখ্যা আমরা দেব। কিন্তু, কালচারাল ফ্যাসিজম এবং পুরাতন অর্থনৈতিক বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে আপনাদের আমাদের নিরন্তর লড়াই প্রয়োজন।
সামাজিক ফ্যাসিবাদ বনাম সেকুলারিস্ট শক্তির ছদ্ম খেলা নস্যাৎ করে দেওয়া দরকার। নইলে এ দুই শক্তি এ প্রজন্মকে হত্যাযোগ্য করে তুলবে। ফিফথ অগাস্ট ডিভিশনকে প্রশ্ন করুন। (যারা পাঁচ তারিখে এসে আন্দোলনে অংশ নিলেন, কিন্তু জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করেননি!
সরকার ১৫০-এর বেশি আন্দোলন মোকাবিলা করেছে! অর্থনীতিকে খাদের কিনারে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছে। আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জুলাই শহীদ ও আহতদের অর্থ দান ও পুনর্বাসন থেকে শুরু করে বিচার ও সংস্কারের জন্যে আমরা নিরন্তর কাজ করছি। এখনো জনগণের যেকোনো ন্যায্য দাবি সময়সাপেক্ষ হলেও পূরণ হচ্ছে। সরকার শুনছে, কাজ করছে। কিন্তু, ভাবাদর্শিক গোঁড়ামি করে এবং বিদেশি প্রেসক্রিপশন নিয়ে যারা এ রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের সম্ভাবনাকে নস্যাতে দাঁড়িয়ে গেছেন, তাদের সবার খতিয়ান আমাদের প্রজন্মের কাছে আছে। কালচারাল শক্তি ও গণমাধ্যমগুলো নিছক ভাবাদর্শিক লাভক্ষতির জায়গা থেকে যেভাবে শহীদ ও আহতদের সঙ্গে বেইমানি করছেন, তাও আমাদের প্রজন্ম মনে রাখবে।
আমরা যেদিন আবার রাজপথে নেমে আসব সেদিন প্রতিদিনের ডায়েরিতে টুকে রাখা আমাদের দিন রাতের কাজগুলোর আমলনামা নিয়ে জনগণের সামনে আসব। কিন্তু, আপনারা জুলাইবিরোধী শক্তি যাবেন কোথায়? জুলাইয়ের মিত্র সেজে জুলাইয়ের পিঠে ছুরি চালানো হন্তারকেরা পালাবেন কোথায়? আপনাদের আমলনামাও আমরা রাখছি। ভাবাদর্শ আর ভিনদেশের পাতানো খেলায় নেমে যেভাবে আচ্ছন্ন করে রাখলেন বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে, এটার জবাব দিবে জনগণ! মিত্রদের জড়ো করুন, শত্রুদের চিহ্নিত করুন।